বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সংসারে সুখ এবং স্বামীর ভালবাসা ও প্রীতি অর্জন করার জন্য মুসলিম নারীদেরকে প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ডঃ ফাহমিদা আঞ্জুমানের কিছু মূল্যবান উপদেশঃ
(১) বিভিন্ন উপলক্ষে স্বামীর হাতে ও কপালে চুম্বন করা।
(২) স্বামী বাইরে থেকে এলে সাথে সাথে স্বাগতম জানানোর জন্য দরজায় এগিয়ে আসা। তার হাতে কোন বস্তু থাকলে
তা নিজের হাতে নেয়ার চেষ্টা করা।
(৩) সময় ও মেজাজ বুঝে স্বামীর সামনে প্রেম-ভালবাসা মিশ্রিত বাক্যালাপ করা। তার সামনে তার প্রশংসা করা।
সম্মান ও শ্রদ্ধা মূলক আচরণ করা।
(৪) স্বামীর পোশাক-আশাকের পরিচ্ছন্নতার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। (পরিচ্ছন্ন পুরুষ মানেই তার স্ত্রী পরিস্কার-
পরিচ্ছন্ন) রান্নার ক্ষেত্রে স্বামী যা পছন্দ করেন তা নিজ হাতে প্রস্তুত করতে সচেষ্ট থাকা।
(৫) সবর্দা স্বামীর সামনে হাসি মুখে থাকা। কোনভাবেই স্বামীর সাথে তর্ক না করা। তর্কে স্বামীর মন নষ্ট হতে পারে।
(৬) স্বামীর জন্য নিজেকে সুসজ্জিত রাখা। শরীরে দুর্গন্ধ থাকলে বা রান্না ঘরের পোষাকে তার সম্মুখে না যাওয়া।
(৭) স্বামীর সামনে কখনই নিজের কন্ঠকে উঁচু না করা। নারীর সৌন্দরয তার নম্র ও নীচু কন্ঠে।
(৮) সন্তানদের সামনে স্বামীর প্রশংসা ও গুণগান করা। তাহলে সন্তানেরা ইতিবাচক মন-মানসিকতায় বেড়ে উঠবে।
(৯) নিজের এবং স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের সামনে আল্লাহর কৃতজ্ঞতার সাথে সাথে স্বামীর
প্রশংসা করা ও তার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা। কখনই তার বিরুদ্ধে তাদের নিকট অভিযোগ না করা। তাতে আপনার
সুনাম ও খ্যাতি বেড়ে যাবে।
(১০) সুযোগ বুঝে স্বামীকে নিজ হাতে লোকমা তুলে খাওয়ানো।
(১১) কখনো স্বামীর আভ্যন্তরীন গোপন বিষয় অনুসন্ধান না করা। কেননা পবিত্র কুরআনের সুরা হুজুরাতের ১৩নং
আয়াতে আল্লাহ্ বলেন, তোমরা কারো গোপন বিষয় অনুসন্ধান কর না।” আর নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেন, তোমরা কারো প্রতি কুধারণা থেকে বেঁচে থাক। কেননা ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা।”
(১২) স্বামী কখনো রাগান্বিত হলে চুপ থাকার চেষ্টা করা। চুপ থাকলে স্বামীর রাগ এমনিতেই কমে যাবে। সম্ভব হলে
তার রাগ থামানোর চেষ্টা করা। যদি সে অন্যায়ভাবে রেগে থাকে, তবে অন্য সময় তার মেজাজ বুঝে
সমঝোতার মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করা।
(১৩) সব-সময় স্বামীর বাবা-মায়ের(শ্বশুর-শাশুড়ির)শারীরিক খোঁজ-খবর নেয়া। তাঁদেরকে নিজের পক্ষ থেকে
(সাধ্যানুযায়ী) কিছু উপহার-উপটোকন প্রদান করা। তাতে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর আস্থা ও বিশ্বাস বেড়ে যাবে।সংসারে
সুখ নেমে আসবে।
(১৪) স্ত্রীর বাবা-মা সম্পদশালী হয়ে থাকলে স্বামীর একান্ত প্রয়োজনে বা অভাব অনটনের সময় সাধ্যনুযায়ী
সহযোগিতা করা।
(১৫) স্বামীর অনুমতি ছাড়া; কখনই নিজ গৃহ থেকে বের না হওয়া।(এটা শরীয়তের বিধান)।
(১৬) স্বামীর নির্দেশ পালন, তার এবং তার সংসারের খেদমত প্রভৃতির মাধ্যমে আল্লাহর রহমাত ও দয়া লাভ করা।
কেয়ামাতের ময়দানে আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিদানের আশা করা।
আল্লাহ আমাদের সকল মুসলিম মেয়েদেরকে মূল্যবান এই নসীহতগুলো মেনে চলার তৌফিক দাণ করুক। আমিন